কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে এক গৃহশিক্ষিকাকে হত্যা করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জুং ইয়ু-জং ২৩ বছর বয়সি এক নারী।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে একটি জেলা আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। যদিও এ ঘটনার জন্য হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালতে ওই তরুণী জানিয়েছে, নিতান্তই কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে এবং বিভিন্ন ক্রাইম শো দেখে খুনের প্রতি আগ্রহ থেকে এই কাজ করেছেন তিনি।
অনেকদিন ধরে জং ইউ-জং খুনের জন্য শিকার খুঁজেছিলেন। টার্গেট খুঁজে পেতে অনলাইন টিউটরিং অ্যাপ ব্যবহার করে কয়েক মাস শিকারের সন্ধান করছিলেন। ৫০ জনেরও বেশি নারীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন ওই অ্যাপের মাধ্যমে। তাদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তারা বাড়িতে ছাত্রী পড়ান কিনা। পরে মে মাসে ছাত্রীর মা পরিচয়ে এক গৃহশিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে গৃহশিক্ষিকা তার বাড়িতে প্রবেশ করতে দিলে জং ইউ-জং তাকে ১০০ বারেরও বেশি ছুরিকাঘাত করেন। তারপর মরদেহটি টুকরো করে ফেলেন এবং ট্যাক্সিতে করে নিয়ে যান। স্যুটকেসে রক্ত দেখে ট্যাক্সিচালক পুলিশে খবর দেন এবং পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
জুনে অপরাধের কথা স্বীকার করে জং বলেন, সেসময় হ্যালুসিনেশন এবং অন্যান্য মানসিক ব্যাধিতে ভুগছিলেন তিনি। তাই খুন করেছেন।
আদালত জানায়, সতর্কতার সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে তিনি এই খুন করেন এবং সেসময় তার মানসিক ও শারীরিক কোনো সমস্যা ছিল না। ফলে তার যাবজ্জীবন দেওয়া হয়।
Discussion about this post