গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই—এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ (বুধবার, ১৮ জুন) সকালে নরসিংদী জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদী দল পলাতক আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতীয় নীতি নির্ধারকরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার পতনকে তারা সহ্য করতে পারছে না। লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকের পর টার্গেট করে পার্শ্ববর্তী দেশ ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটছি। সৌধ নির্মাণ এখনো শেষ হয়নি। ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। ১৬ বছরের তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে অনেকে এখনো গুম আছে। নেতাকর্মীরা মামলা ও গ্রেপ্তার থেকে রক্ষা পায়নি। ফ্যাসিবাদের দিনগুলো ছিল ভয়ংকর। আজকে নির্ভয়ে আমরা কথা বলতে পারছি। যখন ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক হয়েছে, তখন থেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
রিজভী বলেন, ১৬ বছর ধরে নিপীড়ন করেছে, লুট করে দুবাই, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বেহেস্তের মতো সুখে আছে। শেখ হাসিনা মিডিয়া কন্ট্রোল করে অপপ্রচার চালিয়ে গেছে। নির্যাতনের শিকার হয়েছি তবুও শেখ হাসিনার কাছে আত্মসমর্পণ করিনি।
তাহের ঠাকুরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, লোহা পুড়িয়ে সংসার চালিয়েও তিনি (তাহের ঠাকুর) দলের জন্য অনেক ত্যাগ শিকার করেছেন। জেলা বিএনপি যেন সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখে সেজন্য বলেছি। আপনার পাশে সবাই দাঁড়াবে। তারেক রহমানের উপহার নিয়ে এসেছি।
এ সময় পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক বাবু, তাহের ঠাকুরের ছেলে চাটমোহর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বরিউল করিম গোলাম, এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তাহের ঠাকুরের তিন যুগেরও বেশি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আছে। তিনি চাটমোহর উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ত্যাগী এই নেতার অসুস্থতা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন সম্পর্কে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে বিষয়টি পড়লে তিনি নেতাকর্মীদের আর্থিক সহযোগিতা ও খোঁজখবর নিতে নির্দেশনা দেন।
এম এইচ/
Discussion about this post