আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর এর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। এছাড়া আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং গণহত্যার বিচার দাবিতে ১২ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে লিফলেট বিতরণ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি ৬৪ জেলায় ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দলটির সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান নতুন এই কর্মসূচির ডাক দেন। এসময় অন্তবর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬৪ জেলায় ডিসির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই কেন্দ্রীয়ভাবেও সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
গণঅধিকার পরিষদের ৫ দফা হলো-
১. জুলাই-আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিগত ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও শহীদদের সঠিক তালিকা তৈরি, ক্ষতিপূরণ এবং যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
২. জুলাই গণহত্যায় জড়িত বিদেশে পলাতক গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনাসহ সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৩. ফ্যাসিবাদের আমলে উন্নয়নের নামে লুটপাট, অর্থ পাচারে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করা।
৪. জন-আকাঙ্ক্ষার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে কার্যকর সংস্কার নিশ্চিতে অভ্যুত্থানের অংশীজনদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
৫. বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার রেজিমে সংগঠিত গুম-খুন ও ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের ভুয়া নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা।
গণঅধিকার পরিষদ আগামী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের মাধ্যমে শুধু আওয়ামী লীগ নয় এখনও যারা চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করছে তাদেরকেও গ্রেফতার করতে হবে।
এ ইউ/
Discussion about this post