সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। মৃত্যুর পাশাপাশি বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহের শনি থেকে শুক্রবার ডেঙ্গুতে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ছয় হাজার ৫৬৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১২ অক্টোবর ডেঙ্গুতে নয়জনের মৃত্যু এবং ৯১৫ জন হাসপাতালে, ১৩ অক্টোবর চারজনের মৃত্যু এবং ৬৬০ জন হাসপাতালে, ১৪ অক্টোবর একজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৮৬ জন হাসপাতালে, ১৫ অক্টোবর আটজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১০৮ জন হাসপাতালে, ১৬ অক্টোবর তিনজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৮৬ জন হাসপাতালে, ১৭ অক্টোবর আটজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১০০ জন হাসপাতালে এবং ১৮ অক্টোবর তিনজনের মৃত্যু এবং ৪১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭ হাজার ৪৬১ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪১৫ জন। মারা গেছেন ২৩৭ জন।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশা নিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
এ ইউ/
Discussion about this post