গরুর কিছু জিনিস ছাড়া, বাকি সব কিছুই খাওয়া যায়। তবে এবার গরুর বিশেষ অঙ্গ প্রতি বছর আমাদের দেশে থেকে গরুর চামড়া রপ্তানি হওয়ার কথা শুনে থাকেলেও এবার শুনোবো অন্য রকম এক খবর। আমাদের দেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে গরুর বিশেষ অঙ্গ। দিন দিন এই বিশেষ অঙ্গের চাহিদা বেড়েই চলছে। দেশের তরুণ উদ্যোক্তারা গরুর বিশেষ অঙ্গ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে।
দেশের বাহিরে গরুর বিশেষ অঙ্গের বিশেষ মূল্যায়ণ করা হয়। এক টন শুকনো পিজলের দাম ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ টাকা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গরুর পিজলের (পেনিস) চাহিদা বেশ রয়েছে।
কানাডা, আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও হংকংসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গরুর পিজলের (পেনিস) চাহিদা বেশ। এসব দেশে রপ্তানি হচ্ছে গরুর বিশেষ অঙ্গ। মূলত এগুলো দিয়ে তৈরি হয় উন্নত মানের স্যুপ ও সালাদ। যা দেশগুলোতে বেশ জনপ্রিয়। এবার পিজল বা পেনিস সংগ্রহ হবে ১০০ টন।
রাজধানীর হাজারীবাগে সড়কের পাশে এবারও বসেছে কিছু তরুণের দোকান। এসব দোকানে গরুর পিজল সংগ্রহ করছিল। প্রতিটা পেনিস মানভেদে ৬০-১০০ টাকায় সংগ্রহ করছে। এগুলো সংগ্রহের পর চট্টগ্রামের রপ্তানিকারকের হাতে তুলে দিয়ে ভালো টাকা আয় করেন এই তরুণরা।
এই বিষয়ে তরুণরা জানায়, গরুর এই বিশেষ অঙ্গটি সাধারণত মানুষ ফেলে দেয়। কিন্তু আমাদের কাছে দিলে ভালো টাকা পাওয়া যায়। এখন একটা ছাগলের চামড়া কেউ কিনতে চায় না। অথচ গরুর পেনিস ১০০ টাকা দিয়ে আমরা কিনছি। তাই সবাইকে বলবো চামড়ার মতো করেই গরুর পেনিস সংগ্রহ করে আমাদের কাছে বিক্রি করুন। এতে করে বাংলাদেশও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে, আমাদেরও কিছু টাকা আয় হবে। এবার পিজলের চাহিদা অনেক।
গরুর বিশেষ অঙ্গ সংগ্রহ করছিল চট্টগ্রামের এমএস সুমন ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ সুমন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, মানুষ এখন অনেক সচেতন। তাই পিজল সংগ্রহ ভালো হচ্ছে। এবার আশা করছি ৫০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। বিদেশে এগুলোর খুব চাহিদা। কানাডা-আমেরিকায় পিজলের চাহিদা রয়েছে। সারাদেশে ১০ হাজার পরিবার এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
টিবি
Discussion about this post