গরুর মাংস ৫০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
সোমবার (১৮ মার্চ) পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে ভোক্তা অধিদফতর কর্তৃক মিরপুরের উজ্জ্বল মাংস বিতানে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি।
এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, মাংস ব্যবসায়ী নয়ন আহমেদ, খলিল, উজ্জ্বলসহ বেশ কয়েকজন সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেখিয়েছে যে সৎ ইচ্ছা থাকলে ভোক্তাদের নিকট সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রয় করা সম্ভব। যদি চামড়ার ন্যায্য মূল্য প্রদান, পরিবহনে চাঁদাবাজি সমস্যা দূর করা,ফিডের মূল্য কমিয়ে আনা, উন্নত জাতের গরু নির্বাচন, হাঁসলি যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার মতো কিছু কাজ করা যায় তবে ভোক্তা পর্যায়ে ৫০০ টাকা কেজি গরুর মাংস নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় অধিদফতরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের প্রতি সাশ্রয়ী মূল্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রয়ের আহ্বান জানানো হয়। জনাব উজ্জ্বল সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রয়ের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাকে আমি সাধুবাদ জানাই।
এ সময় অধিদফতরের মহাপরিচালক সাশ্রয়ী মূল্যে ভোক্তাদের নিকট মাংস বিক্রি করায় উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে অধিদফতরের পক্ষ থেকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের মালিক জনাব উজ্জ্বলকে ফুলের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এ সময় মাংস বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, আমি গত ৪ মাস যাবৎ সাশ্রয়ী মূল্যে ভোক্তাদের নিকট গরুর মাংস বিক্রি করে আসছি।বছরের ১১ মাস ব্যবসা করি এই রমজানের ১ মাস ভোক্তাদের সেবায় সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করছি। সাধ্যমত এই সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রয় কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো।
টিবি/
Discussion about this post