ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস হয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনায় গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে মৌরিতানিয়া ও মিসর এই প্রস্তাব তুলেছিল। বাংলাদেশ ও ভারতসহ ১৫৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বাংলাদেশের সময় বুধবার ভোর ৪টার আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রস্তাবটি পাস হয়। খবর: সিএনএন ও আলজাজিরা’র।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ১০টি দেশ ভোট দিয়েছে বিপক্ষে। আর ভোটদানে বিরত ছিল ২৩টি দেশ।
অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটি ব্যর্থ হওয়ার পর মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সাধারণ পরিষদের ভোটে পক্ষে ভোট দিয়েছে দেড় শতাধিক দেশ। গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি যে পাস হবে, তা আগেই ধারণা করা হচ্ছিল। অবশ্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক নয়। যদিও এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে বৈশ্বিক মনোভাব বোঝা যায়।
সাধারণ পরিষদের ভোটাভুটির পর সৌদি আরবের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত আবদুল আজিজ আলওয়াসিল এক মন্তব্যে বলেছেন, আমরা তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই যারা এই খসড়া প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেছেন যা সবেমাত্র বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বারা গৃহীত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান নৃসংশ হামলা থামানোর আহ্বান জানিয়ে গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব তুলেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রস্তাবটিতে ভেটো দেয় নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র।
গাজায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ হামলায় ১৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ।
এবারের প্রস্তাবে গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি দু’টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছিল আমিরাত। প্রথমত, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সব বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দ্বিতীয়ত, অবিলম্বে ও শর্তহীনভাবে সব বন্দিকে মুক্ত করা।
Discussion about this post