ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল সব চেয়ে বড় অস্ত্র নির্মাণ কারাখানার উদঘাটন করেছ। এই কারখানার সঙ্গে সংযুক্ত একটি ভূগর্ভস্থ ওয়ার্কশপও রয়েছে। এই ওয়ার্কশপে উত্তর ইসরায়েলে হামলা করতে সক্ষম এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হতো।
ইসরায়েলি বাহিনী এমন দাবি করেছে বলে সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক প্রতিদেবনে জানিয়েছে রয়টার্স। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, এই ওয়ার্কশপকে ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজা উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধরত হামাসের বিভিন্ন ইউনিটের কাছে অস্ত্র পৌঁছে দিতে এর সঙ্গে একটি টানেল নেটওয়ার্কের সংযোগ ছিল।
মধ্য গাজার বুরেজ এলাকায় এ অস্ত্র কারখানা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সেখানে বেশ কয়েক জন সাংবাদিককে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, হামাস রকেটগুলোকে এমন স্থানে রেখেছে যেটা নিরাপদ। এরপর এগুলোকে টানেলের মাধ্যমে আরও ভেতরে নেওয়া হয়েছে। এক জায়গায় তারা রকেট তৈরি করে অন্য জায়গা থেকে উৎক্ষেপণ করে।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে গাজায় একের পর এক টানেল উদ্ধারের দাবি করে আসছে ইসরায়েল। এবার তারা সেখানে নতুন করে অস্ত্র নির্মাণ কারখানা উদ্ধারের দাবি করল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি, হামাস ইচ্ছা করে বেসামরিক এলাকায় টানেলসহ তাদের সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। তবে এমন দাবি অস্বীকার করে হামাস বলেছে, ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে প্রায় ২৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু ও নারী। আহত হয়েছেন আরও ৫৮ হাজার ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ।
Discussion about this post