ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ দক্ষিণ গাজা উপত্যাকার প্রধান শহর খান ইউনিস ঘিরে ফেলার দাবি করেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) এমন দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। খবর রয়টার্সের। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, কয়েক দিন ধরে খান ইউনিস শহরে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে আইডিএফ সেনারা। এখন তারা শহরটি ঘিরে ফেলেছে। বর্তমানে হামলা আরও জোরদার করা হয়েছে। এখানে হামাস যোদ্ধারা শক্ত ঘাঁটি গেড়েছে।
তবে খান ইউনিস শহরে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। সেখানে একদিনে ২৪ জন ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। গত অক্টোবরে গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে একদিনে এত সেনার মৃত্যু আগে দেখেনি ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যু।
মঙ্গলবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজায় একটি বিস্ফোরণে ২১ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাস যোদ্ধারা একটি ট্যাংকে রকেট গ্রেনেড ছুড়েছে। দুটি ভবনে বিস্ফোরণ হয়। ভবন দুটি উড়িয়ে দিতে সেখানে আগে থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য পুঁতে রেখেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। বিস্ফোরণ হলে ভবন দুটি তাদের ওপর ধসে পড়ে।
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের এমন তথ্য জানানোর আগে দক্ষিণ গাজায় পৃথক হামলায় আরও তিন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছিল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কথায়ও বিষয়টি উঠে এসেছে। তিনি বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গতকাল আমাদের সবচেয়ে কঠিন দিন গেছে। তবে আমাদের বীর সেনা ও আমাদের জীবনের জন্য চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই লড়াই বন্ধ করব না।
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় হামলা চালায়। ফলে ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন। গাজার খান ইউনিস শহরেও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা রয়টার্সকে বলেছেন, গত রোববার রাতে খান ইউনিস শহরে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতাল অবরোধ করে রাখায় বহু আহত মানুষ চিকিৎসা নিতে পারছেন না।
এ এস/
Discussion about this post