বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের গুপ্তহত্যায় যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তা না হলে আইন, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে এ ঘোষণা দেয়া হয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর গুপ্তহত্যা, টার্গেট ক্লিলিংয়ের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
‘সার্বভৌমত্ব আন্দোলন’র ব্যানারে অংশ নেয়া আন্দোলনকারীরা বলেন, বাংলাদেশকে সুরক্ষিত রাখতে হলে অভ্যুত্থানকারী বিপ্লবীদের সুরক্ষা দিতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্র গুপ্ত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে সরকারের তিন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে বন্দর থানাধীন আনন্দবাজার সিটি করপোরেশন ময়লার ডিপো টিসি কলোনি এলাকায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া জসিম উদ্দিন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে মারা যান তিনি।
জসিমের চাচা বশির আহমদ বলেন, ‘আমার ভাতিজা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া জসিম বিএনপির রাজনীতি করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ বলেন, ‘সে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে সেটা জেনেছি। এ ঘটনায় খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর ভোরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সীমান্ত। এর দুই দিন পর ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেলে তার মৃত্যু হয়।
এ ইউ/
Discussion about this post