গুপ্তহত্যার হুমকিতে আছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে তার উদ্যোগের কারণে এ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। পরে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের বলেছেন যে, তিনি সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের লক্ষ্যে বড় দরকষাকষি করে নিজের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। সম্পর্ক উন্নয়নের এ আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রও জড়িত।
যুবরাজ মিসরীয় নেতা আনোয়ার সাদাতের নিহতের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করার পরে সাদাতকে হত্যা করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র তাকে রক্ষা করার জন্য কী করেছিল?
তিনি যে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকিকরণের চুক্তিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সত্যিকারের গঠনকে অন্তর্ভুক্ত করার যুক্তি তুলে ধরেন। যুবরাজ এ শর্তকে খুবই উচিত বলে অভিহিত করেন। কারণ হিসেবে বলেন, গাজা যুদ্ধ এখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরবদের ক্রোধকে তীব্রতর করেছে।
তবে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও যুবরাজ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির আলোচনা চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। এটিকে তার দেশের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখেন বলে জানান তিনি।
এদিকে ইসরায়েলি সরকার সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকিকরণের চুক্তিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সত্যিকার গঠনকে অন্তর্ভুক্ত করতে ইচ্ছুক নয়।
প্রসঙ্গত, সৌদি-ইসরায়েলের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে কৌশলগত অংশীদারি চুক্তির মূল শর্তগুলো প্রায় চূড়ান্ত। এখন ফিলিস্তিন ইস্যুসহ মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত স্বার্থ নিয়ে দরকষাকষি চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা, এই চুক্তি সম্পন্ন হলে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে।
এম/এইচ
Discussion about this post