এশিয়ান কাপ খেলার ইতিহাস গড়েও আফিঈদারা উৎসবটা তুলে রেখিছেলেন শেষ ম্যাচের জন্য। কথা দিয়েছিলেন জয় দিয়েই আরও রঙিন হবে আনন্দ। বাছাইয়ের গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচ জেতার কথা কেবল রাখেইনি, তুর্কমেনিস্তানের বিরুদ্ধে ৭-০ গোলের বড় জয়ে ইতিহাস তৈরি করলো বাংলার মেয়েরা।
ঋতুপর্ণা-শামসুন্নাহারদের আত্মবিশ্বাসের কাছেই রীতিমতো উড়ে গেছে তুর্কমেনিস্তান। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে আফিঈদা খন্দকারের দল।
ম্যাচের ৩ মিনিটে দুরপাল্লার শট থেকে দলকে দারুণ এক গোল উপহার দেন স্বপ্না। এর ৩ মিনিট পরেই দারুণ এক গোলে ব্যবধান দ্বিগুন করে শামসুন্নাহার জুনিয়র। ১৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান এই ফরোওয়ার্ড।
ম্যাচের বয়স যখন ১৬ তখনই নিজের ঝলক দেখান মনিকা চাকমা। তুর্কমেনিস্তানের জালে ৪ নাম্বার গোলটি করেন এই মিডফিল্ডার। ১ মিনিট পরেই আরও এক গোল আসে আগের ম্যাচের জয়ের নায়িকা ঋতুপর্ণা চাকমার কাছ থেকে।
ম্যাচের ২১ মিনিটে স্কোর লাইন ৬-০ করেন তহুরা খাতুন। একের পর এক গোল হজমের পর দিশেহারা তুর্কমেনিস্তান। শত চেষ্টার পরেও কোনও কূল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছিল না মায়া মুসাসকায়ার দল। ৪০ মিনিটে বাঁ পায়ের দুরপাল্লার শটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান ঋতুপর্ণা চাকমা। মানে প্রথমার্ধেই প্রতিপক্ষের জালে ৭ গোল।
ম্যাচ তখন জিতেই গেছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত কত হবে স্কোর, সেই নিয়েই তখন হিসাব-নিকাশ শুরু হয়।
তবে, বিরতির পর আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠলেও বাংলাদেশের জালে বল স্পর্শ করতে পারেনি তুর্কমেনিস্থানের মেয়েরা।
এস এইচ/
Discussion about this post