ভালোবাসার উৎসব হিসেবে পরিচিত ভ্যালেন্টাইনস ডে বিশ্বব্যাপী পরিচিত হলেও নারীদের বন্ধুত্ব উদযাপন করার জন্য রয়েছে আরেকটি বিশেষ দিন—গ্যালেনটাইনস ডে। এ দিনটি সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষ জানেই না। প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি এ দিনটি বন্ধুত্ব, সমর্থন ও নারীদের মাঝে গভীর সংযোগের প্রতীক হিসেবে পালন করা হয়।
গ্যালেনটাইনস ডে-এর ধারণা প্রথম জনপ্রিয়তা পায় ২০১০ সালে বিখ্যাত টেলিভিশন সিরিজ পার্কস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন-এ লেসলি নোপ নামক এক চরিত্রের মাধ্যমে। এ দিনটিতে নারীরা একে অপরকে ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, একসঙ্গে সময় কাটান, উপহার বিনিময় করেন এবং বিশেষভাবে নিজেদের বন্ধুত্ব উদযাপন করেন।
গ্যালেনটাইনস ডে কেবল আনন্দের দিনই নয়, এটি নারীদের ক্ষমতায়নেরও প্রতীক। সামাজিক এবং পেশাগত জীবনে নারীরা একে অপরের পাশে থাকার যে ভূমিকা পালন করে, সে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরতে সাহায্য করে এ দিনটি।
বিশ্বজুড়ে গ্যালেনটাইনস ডে উদযাপনের ধরনে রয়েছে ভিন্নতা। কেউ রেস্তোরাঁয় বিশেষ ব্রাঞ্চের আয়োজন করেন, কেউ কেউ ঘরে বসে সিনেমা পার্টি চালান, আবার অনেক বন্ধুরা মিলে ট্রিপে যান কেউ কেউ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ দিনটি নিয়ে আলোচনা ও উদযাপনের ছবি দেখা যায়।
পশ্চিমা দেশে গ্যালেনটাইনস ডে দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয় হলেও, বাংলাদেশেও সম্প্রতি এ দিবস পালনের ধারা শুরু হয়েছে। শহুরে নারীদের মাঝে দিনটি উদযাপনের আগ্রহ বাড়ছে। বন্ধুরা মিলে কফি শপে আড্ডা দেওয়া, একে অপরকে ছোট ছোট উপহার দেওয়া বা গ্রুপ ফটোশুট করা এখন বেশ প্রচলিত।
এ বছর গ্যালেনটাইনস ডে উদযাপনের জন্য অনেক রেস্তোরাঁ এবং ক্যাফে বিশেষ ছাড়ের আয়োজন করছে। নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনীও দেখা যাবে এ দিনে।
প্রেমের সম্পর্কের বাইরেও জীবনে বন্ধুত্বের গুরুত্ব অপরিসীম। গ্যালেনটাইনস ডে শুধু একটি দিন নয়, বরং এটি নারীদের একে অপরকে ভালোবাসার এবং একে অপরের সাফল্য উদযাপনের সুযোগ করে দেয়।
এ ইউ/
Discussion about this post