গ্যাস সেক্টরে আগামী ৪ বছরের মধ্যে শতভাগ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। আজ শনিবার সকালে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী প্রধান কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার ও প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের ডাটা সেন্টার উদ্বোধন করেন। তিনি তিন দিনের সফরে সিলেটে রয়েছেন। এ সময়ে কয়েকটি গ্যাস ফিল্ড ও প্রসেস প্লান্ট পরিদর্শন, মডেল পেট্রল পাম্প উদ্বোধন, পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ উদ্বোধন করবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গ্যাস মিটার স্থাপন করলে অপচয় কমে যাওয়াসহ অনেক সুবিধা রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব প্রিপেইড মিটার স্থাপন শেষ করতে। অনেক দিন ধরেই চাপ দিয়ে যাচ্ছি কোম্পানিগুলোকে। এখন বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ অনেকে অর্থায়ন করতে চায়। তারা প্রায় ৩০ লাখ মিটার কানেক্ট করবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের ৫০ হাজার গ্রাহককে ইতিমধ্যে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হয়েছে। আরও দেড় লাখ গ্রাহককে অচিরেই প্রিপেইড মিটারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতিমধ্যেই সেই পরিকল্পনা নিচ্ছে জালালাবাদ। ধাপে ধাপে সিলেট অঞ্চলের সব গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় চলে আসবে। প্রিপেইড মিটারের ফলে গ্যাসের অপচয় রোধ হবে এবং গ্রাহকরা সাশ্রয়ী মূল্যে গ্যাস ব্যবহার করতে পারবে। আগামী দুই বছরের ভিতরে জালালাবাদের সব গ্রাহকে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে আপনারা দ্রুত পদক্ষেপ নিন।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘এখানে প্রিপেইড মিটারের জন্য একটি ডাটা সেন্টার চালু করা হয়েছে। গ্রাহকরা কখন কি পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করছেন এই ডাটা সেন্টারের মাধ্যমে এর একটা ধারণা পাওয়া যাবে। কেউ হিসেবে বাইরে অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করলে সেটাও এর মাধ্যমে বুঝা যাবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব প্রিপেইড মিটার স্থাপন শেষ করতে। অনেক দিন ধরেই চাপ দিয়ে যাচ্ছি বিতরণ কম্পানিগুলোকে। এখন বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ অনেকে অর্থায়ন করতে চায়। তারা প্রায় গ্যাসের ৩০ লাখ মিটার স্থাপন করবে।’
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের মোট গ্রাহক রয়েছে দুই লাখ ২১ হাজার ৪৬১। এরমধ্যে আবাসিক গ্রাহক রয়েছে দুই লাখ ১৯ হাজার ৭৬৪। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দেওয়া হয়েছে। আরও দেড় লাখ মিটার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের কর্মকর্তা বলছেন, ৫০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয় ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টম্বরে। মাঠ পর্যায়ে মিটার স্থাপন কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ১৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড পরিদর্শনকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য, কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সিলেটের কৈলাসটিলা ৮ নম্বর কূপ খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী।
এ জেড কে/
Discussion about this post