নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ডহরগাও এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে রাত বারোটা নাগাদ তাদেরকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।দগ্ধরা হলেন, মো. বাবুল (৪০), মোছাম্মৎ সেলি (৩৫), মো. সোহেল (২০), মোসাম্মৎ মুন্নি (১৮), মো. ইসমাইল (১১) ও তাসলিমা (৯)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, গতরাতে দগ্ধ হয়ে হাসাপাতালে আসা বাবুলের দগ্ধের পরিমাণ ৬৬ শতাংশ, সেলি ৩০ শতাংশ, সোহেল ৭০ শতাংশ, মুন্নি ২০ শতাংশ, ইসমাইল ৫৫ শতাংশ ও তাসলিমা ৬৩ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় আমাদের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়। দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাদের সবাইকেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তাদের সবাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
দগ্ধ বাবুলের চাচা মোগল মিয়া জানান, দগ্ধরা সবাই রূপগঞ্জের হকিরা ফ্যাশনে পোশাক শ্রমিকের কাজ করতো। তারা সবাই একই রুমে বসবাস করত। কাজ শেষে বাসায় ফিরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় তারা। ধারণা করছি লাইনের গ্যাস লিকেস হয়ে ওই ঘরে আগেই গ্যাস জমে ছিল। পরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে ছয় জনই দগ্ধ হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে নারী ও শিশুসহ জন দগ্ধ হলে তাদেরকে জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণে তাদের রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছে।
এস এম/
Discussion about this post