অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আদালত যে ৪৫ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে তাদের সবাইকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই তবে শেখ হাসিনা দিল্লিতেই আছে। তাকে ফেরত আনতে সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক মাস সময় দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিগত সরকারের আমলে মার্কিনিদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তা কেটে গেছে। ইতালি বাংলাদেশসহ কয়েকটা দেশের ভিসা ইস্যুতে নতুন আইন করছে। এর ফলে বাংলাদেশিদের ভিসা পেতে দেরি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ১৮ নভেম্বেরর মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা ছাড়াও ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদসহ মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
শেখ হাসিনা ছাড়াও গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আরও আছেন- ওবায়দুল কাদের, সজীব ওয়াজেদ জয়, মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, দীপু মনি, আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, জুনায়েদ আহমেদ পলক, শেখ রেহানা, শেখ সেলিম, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, ডিবি হারুন-অর-রশিদ, বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ারদার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, র্যাবের সাবেক ডিজি হারুন উর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, তারিক আহমেদ সিদ্দিক, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ আরও অনেকে।
এ ইউ/
Discussion about this post