দিন ও রাত্রির সৃষ্টি আল্লাহ তাআলার একত্ববাদের এক বড় নিদর্শন এবং সকল মাখলুকাতের জন্য মহা নিয়ামত। যার শোকরিয়া আদায় করে শেষ করা যাবে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দুনিয়াতে অগণিত অসংখ্য মাখলুকাত সৃষ্টি করে প্রত্যেককে তার পরিধিতে সংসার জীবন প্রতিপালনে ব্যস্ত করে রেখেছেন এবং এ সকল কর্মব্যস্ততার ফলে প্রত্যেক মাখলুকাতের মাঝে ক্লান্তি আসে; আবার তা থেকে মুক্তির ব্যবস্থাও করেছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘুমের মাধ্যমে।
আল্লাহ বলেন-
‘তোমাদের ঘুম বা নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী। রাত্রিকে করেছি আবরণ। দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়।'(সুরা আন-নাবা; আয়াত -৯, ১০ ও ১১)’
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত হুযাইফা (রা.) বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘুম থেকে উঠতেন, তখন তিনি বলতেন,
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না- বা‘দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন্ নুশূর।
অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি (নিদ্রারূপ) মৃত্যুর পর আমাদেরকে জীবিত করলেন, আর তারই নিকট সকলের পুনরুত্থান। (মুসলিম, আসসাহিহ : ২৭১১)।
অতঃপর কালিমাতুশ শাহাদাত পড়বে-
আশহাদুআল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসুলুহু।
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজীম ওয়া বিহামদিহি আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইকা।
আমাদের সকল ভালো কর্মের প্রশংসা করবো এবং সকল প্রকার মন্দ কর্মের জন্য আল্লাহর দরবারে সব সময় পানাহ চাইবো।
আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের যোগ্যতা দান করুন। আমীন
এস আই/
Discussion about this post