চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার সকালে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান উপদেষ্টা। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার।
সরকার সব পাসপোর্ট ইলেকট্রনিক পাসপোর্টে রূপান্তর করার চেষ্টা করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “চলতি বছরই ই-পাসপোর্টের কাজ সম্পন্ন করা হবে। আমার দায়িত্বকালেই এ কাজ শেষ করে যেতে চাই।”
পাসপোর্ট অফিসগুলোকে সেবার মান বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “পাসপোর্ট পেতে এখনো বেশি সময় লাগে। কাজ দ্রুত করার কথা বলেছি।”
তবে রোহিঙ্গারা যাতে কোনোভাবেই বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করার সুযোগ না পান সেটা নিয়েও সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি।
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বর্তমান মহাপরিচালক যোগদান করার পর ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দুর্নীতির মাত্রা অনেক কমেছে। তবে এটিকে শূন্য পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, বিদেশি নাগরিক যারা ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন, তাদেরকে আগামী ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানের বা কর্মরত থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জন করতে হবে। অন্যথায় ৩১ জানুয়ারির পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপদেষ্টা এ বিষয়ে আজ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান।
এসময় পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাদ দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সবার সঙ্গে আলাপের মাধ্যমে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উঠিয়ে দিলে কী লাভবান হবো কী সমস্যায় পড়ব- সবকিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এছাড়া বাংলাদেশে ভিসা ছাড়া যারা অবস্থান করছেন, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তারা ভিসা সংগ্রহ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এ ইউ/
Discussion about this post