আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য দেশে গবাদি পশুর কোনো ঘাটতি নেই এবং আমদানির প্রয়োজনও নেই বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ফরিদা আখতার বলেন, “এ বছর গবাদি পশু আমদানির প্রয়োজন নেই, আগের বছরগুলোর মতো এবারও আমরা তা করিনি। আমরা সফলভাবে প্রমাণ করেছি, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়েই কোরবানির পশুর চাহিদা অনায়াসে পূরণ সম্ভব।”
তিনি জানান, দেশের খামারিদের উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা সন্তোষজনক। ফলে আমদানির প্রয়োজন না থাকলেও সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পশু প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রচুর সরবরাহ, উদ্বৃত্তও থাকবে
উপদেষ্টা বলেন, “চলতি বছরে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি। এর মধ্যে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু ও মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল ও ভেড়া এবং ৫ হাজার ৫১২টি অন্যান্য প্রজাতির পশু রয়েছে।”
তিনি জানান, ঈদের সময় চাহিদা অনুযায়ী প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চাঁদাবাজি ও বাজার অস্থিরতা ঠেকাতে উদ্যোগ
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদা আখতার বলেন, “কোরবানির পশুর বাজার কেউ যেন অস্থির করতে না পারে, সেজন্য সরকার সতর্ক রয়েছে। চাঁদাবাজির কারণে যেন দাম অযৌক্তিকভাবে না বাড়ে, সে দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। আজকের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাতেও এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”
এম এইচ/
Discussion about this post