সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৩২ বছর করার পর প্রজ্ঞাপন জারি করল সরকার।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সময়সীমা অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে অধ্যাদেশটি অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সব ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারিত হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আওতাবহির্ভূত সব সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা প্রয়োজনীয় অভিযোজন-সাপেক্ষে প্রযোজ্য হবে। প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা বহাল থাকবে।
এছাড়া, এ অধ্যাদেশের আলোকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর ধারা ৫৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪’ পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিন বার অবতীর্ণ হতে পারবে– এরূপ বিধি সংযোজন করবে।
এর আগে, এ বিষয়ে গঠিত কমিটি গত ১৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ সুপারিশ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
এস এইচ/
Discussion about this post