সরকারি চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। শনিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে ‘চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা করা’; ‘প্রিলিমিনারি পরীক্ষার কাট মার্কস প্রকাশ করাসহ প্রিলিমিনারি, রিটেন এবং ভাইবার নম্বরপত্র আলাদাভাবে প্রকাশ ও প্রিলিমিনারির একসেট উত্তর প্রকাশ করা’; ‘বিসিএসে সর্বোচ্চ এক বছর আর অন্যান্য চাকরিতে সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা’ এবং ‘পিএসসি থেকে ফ্যাসিবাদের দোসর ও দুর্নীতিবাজদের অপসারণ করা’র দাবি জানান তিনি।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, সরকারের দায়িত্ব বেকারত্ব দূর করা। ক্ষমতায় আসার আগে সব সরকার বেকারত্বের জন্য অনেক কিছু করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু যখন তারা সরকারে চলে আসে, তখন তারা তাদের সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। ১৯ নভেম্বর সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘চাকরিতে আবেদনের ফি-এর বিষয়ে অ্যাসেসমেন্ট চলছে। কেন এতো সময় নিয়ে অ্যাসেসমেন্ট করা প্রয়োজন? এ অ্যাসেসমেন্ট তো অনেক আগেই করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অর্ডিন্যান্স জারি করে চাকরিতে আবেদনের ফি যেন ন্যূনতম ২০০ টাকা করা হয়। সামনে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা, আবারও ৭০০ টাকা দিয়ে আবেদন করতে হবে চাকরিপ্রত্যাশীদের। আমরা সরকারকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিচ্ছি, যেন অবিলম্বে সরকার যদি তড়িৎ গতিতে এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়। যদি এ বিষয়ে কোনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, প্রয়োজনে আমরা কিন্তু আন্দোলনে যাবো।’
পিএসসির চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এ ছাত্রনেতা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের যে স্থবিরতা রয়েছে সেগুলো যেন অতি দ্রুত কাটিয়ে ওঠা হয়। এখনও পিএসসিতে আওয়ামী লীগ আমলের দোসর রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও যেন তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক মো. সানাউল্লাহ হক, সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এম এইচ/
Discussion about this post