নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের মোটিফ রহস্যজনক আগুনে পুড়ে গেছে।
আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোররাতে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর তদন্তে কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।
চারুকলায় নির্মীয়মাণ মোটিফ নিরাপত্তায় ঢাবির প্রক্টরিয়াল বডির দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু এ বডি দায়িত্ব পালন করেনি বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এসবের নিরাপত্তার জন্য রাতে ছিলো না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কেউ। পুলিশ থাকলেও তাদের অবস্থান ছিলো গেটের বাইরে। এর ফলে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রক্টরিয়াল টিমের একাধিক সদস্য বলেছেন, রাতে ডিউটিতে ছিলো মাত্র চারজন। তবে এখানে কেউ ছিলেন না। রাত ৮টার দিকে আমরা চলে যাই। পুলিশ গেটে দায়িত্বে ছিলো।
এদিকে, গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, চারুকলার শোভাযাত্রা নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছিলো আয়োজকদের যে, যে কোনো সময় ফ্যাসিস্ট সহযোগীরা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে পারে। এরপরও নিরাপত্তা নিয়ে জোরালো পদক্ষেপ ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এসআই তারক কুমার হালদার। নিরাপত্তা নিয়ে তাদের ভূমিকা কী ছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে আপনাকে বলবো।
নিরাপত্তার বিষয়ে শোভাযাত্রার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম শেখ বলেন, এগুলো সবই জানা যাবে। আমরা ফুটেজ দেখার চেষ্টা করছি। ফুটেজ দেখে এরপর বলা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদের দাবি, প্রক্টরিয়াল টিমের দুজন দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলেন, ভোর ৪টা থেকে ৫টার ভেতরে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ সময় দায়িত্বরত প্রক্টরিয়াল টিমের দুই সদস্য নামাজে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া দারোয়ান ঘুমে ছিলেন। ফলে আগুন কীভাবে লেগেছে, তা এখনো জানা যায়নি।
তিনি বলেন, আমরা অনুমান করছি, কেউ পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়েছে। আবার তা নাও হতে পারে। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা ছিলো। ক্যামেরার পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ায় এখনো ফুটেজ দেখা সম্ভব হয়নি। তবে ভিন্নভাবে এ ফুটেজ দেখার চেষ্টা চলছে।
এ ইউ/
Discussion about this post