চলতি বছরের মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার। ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা ২২৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স , যা প্রায় চার বছরের (৪৬ মাস) মধ্যে সর্বোচ্চ এবং এ যাবৎকালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয় সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দাম একলাফে ৭ টাকা বেড়ে ১১৭ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া আসন্ন কোরবানির ঈদের কারণে বেশি বেশি অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। সব মিলিয়ে মে মাসে প্রবাসী আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এর আগে, গত ৮ মে ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারণে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই পদ্ধতি চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন করে। এ পদ্ধতির আওতায় ডলারের মধ্যবর্তী একটি দাম নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলোকে এই দরের আশপাশে স্বাধীনভাবে লেনদেন করতে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা যায়, মধ্যবর্তী এই দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। ফলে ব্যাংকগুলো এখন বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ১১৮ টাকা ৩০ পয়সা পর্যন্ত দরে রেমিট্যান্স কিনছে। এর সঙ্গে আড়াই শতাংশ সরকারি প্রণোদনাসহ প্রবাসীর সুবিধাভোগীরা পাচ্ছেন ১২০ টাকার মতো। আগে ১১০ টাকা দর নির্ধারিত থাকলেও ব্যাংকগুলো ১১৩-১১৫ টাকায় কিনত। ডলারের ভালো দাম পাওয়ায় প্রবাসীরা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় পাঠানো বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।
টিবি
Discussion about this post