জিম্মিদের মরদেহবাহী চারটি কফিন রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে যে, চার জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস।
কালো রঙের ওই কফিনগুলো রেড ক্রসের গাড়িতে তুলি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এগুলো ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণেই এসব জিম্মি প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করেছে হামাস। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা জিম্মিদের রক্ষা করতে এবং তাদের জীবন বাঁচাতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
তবে ইসরায়েলের নৃশংস এবং ক্রমাগত বোমাবর্ষণের কারণে তারা অনেক জিম্মিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে পারেনি। জিম্মিদের পরিবারকে সরাসরি সম্বোধন করে হামাস বলছে, জিম্মিদের জীবিত ফিরিয়ে দিতে পারলেই তারা বেশি খুশি হতো।
হামাস এক বিবৃতিতে জিম্মিদের পরিবারের উদ্দেশে বলেছে, আপনারা এমন একটি নেতৃত্বের অধীনে ছিলেন যার নেতারা নিজের লোকজনকে সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
আগেই জানা গেছে যে, দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হামাস বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজার খান ইউনিসে বিবাস পরিবারের সদস্যসহ চার ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করবে।
গত মাসে দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরুর হয়। এর আগেও দুপক্ষ বন্দি বিনিময় করলেও বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, পুরো জাতির হৃদয় ভেঙে গেছে। তিনি আরও বলেছেন, তারা ‘দানবদের’ সঙ্গে বন্দি বিনিময় করছেন।
শনিবার আরও ছয় জিম্মিকে জীবিত অবস্থায় মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর তিন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। মুক্তি পাওয়া বন্দিরা হলেন, আলেকজান্ডার ট্রুফানোভ, সাগুই ডেকেল-চেন এবং ইয়ার হর্ন।
সুত্রঃ বিবিসি, আল জাজিরা
এ ইউ/
Discussion about this post