ঢাকাসহ দেশের বেশিভাগ জেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত হবার উপক্রম হয়েছে চলমান তাপপ্রবাহে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে।আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চলমান এ দাবদাহ থেকে দ্রুতই মুক্তি না মেলার কথাও বলা হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসগুলোতে।
গরমের কারনে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে চা এবং কফির বদলে মিল্কশেক ও ঠাণ্ডা পানীয় খান। যদিও চা-কফি বাঙালি জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই দুটোর একটা অন্তত সারাদিনে চাই। একটু চা না খেলে যেন কাজে মন বসে না।
কিন্তু এই গরমে চা-কফি খাওয়া যাবে কী? কারণ চা বা কফি দুটো খেলেই শরীর গরম হয়ে যায়। এতে কখনও কখনও প্রচণ্ড ঘামও হয়। এই অবস্থায় চা-কফি খাওয়া কতটা ভালো।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী জানিয়েছেন, চা এবং কফি দুটোতে ক্যাফেইন নামের রাসায়নিক থাকে। ক্যাফেইন স্নায়ু উত্তেজক। ক্যাফেইন শরীর থেকে পানিকে মূত্রের আকারে বের করে দেয়। বেশি চা-কফি খেলে শরীর থেকে বেশি পানি মূত্র হয়ে বের হয়। ফলে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়।
আরও পড়ুনঃ মৃত্যুর দু’বছর পর ব্রুনাই থেকে ফিরছে দুই বাংলাদেশির লাশ
তিনি বলেছেন, “তীব্র গরমে অত্যধিক ঘাম হওয়ার কারণে দেহে পানি ও লবনশূন্যতা তৈরি হয়। তার সঙ্গে চা-কফি খেলে পানিশূন্যতা বেড়ে যায়। অন্যদিকে তীব্র গরমে মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত হয়। চা-কফি খাওয়ার কারণে নিদ্রাহীনতা বাড়তে পারে। এছাড়া ক্যাফেইনের জন্য পাকস্থলীতে অ্যাসিড নিঃসরণ বেড়ে যায়।”
তাই চলমান তীব্র গরমে চা-কফি যতো কম পান করা যায় শরীরের জন্য ততোই মঙ্গলজনক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, চলমান তীব্র গরমে কফির থেকে চা খাওয়াই উত্তম। কারণ চায়ে সঠিক পরিমাণে ক্যাফেইন থাকলেও কফিতে চায়ের থেকে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে। এছাড়াও এক কাপ চায়ের যে পুষ্টিগুণ, তা এক কাপ কফির চেয়েও অনেক বেশি। যেমন চায়ের মেটাবোলিজম এবং হাইড্রেশনের গুণগুলো কফিতে নেই।
পাশাপাশি বাজারে যেসব ফ্লেভারড কফি পাওয়া যায়, যেগুলো অত্যন্ত ফ্যাট সমৃদ্ধ। ফলে ওজন কমাতে চাইলে এসব কফি একেবারেই উপযুক্ত নয়। এক্ষেত্রে আইসড টিও কোল্ড কফির চেয়ে বেশি উপকারী।
এ এ/
Discussion about this post