চলমান বিপিএলের গ্রুপ পর্বে ৯টি জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল ফরচুন বরিশাল। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে সেমিফাইনালেও। প্রথম সেমিফাইনালে চিটাগংকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) আগে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে ১৫০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল চিটাগং। ১৬ বল এবং ৯ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বরিশাল। এতে বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠল দলটি।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে দেখে শুনে ব্যাট চালান তামিম ইকবাল ও তাওহীদ হৃদয় দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪০ রান তোলে বরিশাল। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ২৬ বলে ২৯ রান করে নবম ওভারে ক্যাচ আউট হন দেশসেরা এই ওপেনার।
এরপর পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন ডেভিড মালান। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথে ছুটতে থাকে বতর্মান চ্যাম্পিয়নরা। নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে ৪৫ বলে ফিফটি তুলে নেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত মালানের ৩৩ রান এবং হৃদয়ের ৫৬ বলের অপরাজিত ৮২ রানে ভর করে ১৬ বল এবং ৯ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বরিশাল।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে শুরু করেছিলেন খাজা নাফি। কিন্তু পরের বলেই বোল্ড আউট হন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি গ্রাহাম ক্লার্কও।
৬ বলে ৬ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর মিথুন আলী (১) এবং হায়দার আলী ৭ রান করে আউট হলে দলীয় ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারায় চিটাগং। কিন্তু ছয়ে ব্যাট করতে নামা শামীম পাটোয়ারীকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ওপেনার ইমন।
দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে ১৩ ওভারে ১০০ রানের কোটা পার করে চিটাগং। কিন্তু ফিফটি তুলতে পারেননি ইমন। ৩৬ বলে ৩৬ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখে ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন শামীম।
দলের পুঁজি বড় করার লক্ষ্যে শেষ দিকে আরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করেন শামীম। ৮ বলে ১ রান করে বোল্ড আউট খালেদ আহমেদ আউট হলে ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে এবাদতের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শামীমও। পঞ্চম বলে আরাফাত এবং শেষ আলিস ইসলামে আউট করে ফাইফার তুলে নেন আলী। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল চিটাগং।
এস এইচ/
Discussion about this post