বাংলায় একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে ” নীরবতা সম্মতির লক্ষণ “। মাঝে মধ্যে নিজেদের প্রমাণ করতে গিয়ে আমরা খারাপ পরিস্থিতি ডেকে নিয়ে আসি। আমরা অনেকেই জানি না নীরবতা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে মাঝে নীরব থাকাটা জ্ঞানী ব্যক্তির পরিচয় বহন করে।
মানব শরীরে “মুখ” অন্যতম একটি অস্ত্র। অজান্তে এই অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে অন্যকে এবং নিজেকে বিপদের মুখে ঠেলে দেই। নীরবতা মনকে কতোটা শান্তি প্রদান করে তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না।
কিছু কথা না বলাই ভালো। অন্যকে পরামর্শ দিতে আমরা সবাই পছন্দ করি। কিন্তু সেটা কতোটা যুক্তি যুক্ত তা হয়তো জানি না। নিজের উপস্থিতি বা নিজের কথা আরেকজনের সামনে রাখতে গিয়ে হারিয়ে ফেলি তাদের কাছ থেকে ভালোবাসা এবং সম্মান। কিভাবে জানেন ? মনে করেন, আপনার পরিবারে বড়দের মাঝে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার চলছে আপনার সে বিষয়ে জ্ঞান থাকার পরেও আপনার মতামতকে অপ্রয়োজনীয় মনে করছে তাতে মাথা গরম করে তর্কে জড়িয়ে পরবেন না। এতে বাবা-মায়ের চোখে খারাপ না হলেও বাকিদের চোখে ছোট হয়ে যাবেন।
আরও পড়ুনঃ ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ায় হজ ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ
মন খারাপ বা বিরক্ত বোধ করছেন? চুপ থাকার চেষ্টা করুন। প্রিয়জনের সাথে রাগ দেখতে গিয়ে হয়তো আরো হতাশার সম্মুখীন হত পারেন। এজন্য নিজে চুপ থেকে অন্যের মুখে হাসি ধরে রাখা উচিত। কাউকে বাজে পরামর্শ দিতে যাবেন না। সে যতোই ব্যবসা- বাণিজ্যে খারাপ সময় পার করুক না কেনো তাকে কখনো বলতে যাবেন না যে “এসব ছেড়ে দিয়ে অন্যকিছু করার চেষ্টা করো”। এতে তার মনোবল আরো ভেঙ্গে যাবে।
আপনি হয়তো জানেন না কিন্তু তার উপর রয়েছে পুরো পরিবারের দায়িত্ব। তার এই ব্যবসা অর্থের জোগান দেয়। তাই তাকে বাজে পরামর্শ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। বন্ধু-বান্ধবেরের মাঝে কখনও নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে গিয়ে বেশি কিছু বলে ফেলবেন না। নাহলে হারিয়ে ফেলবেন সেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আমরা এক বন্ধু অন্য বন্ধুকে প্রেমজনীত সমস্যায় পরামর্শ দিতে এগিয়ে আসি এবং বিভিন্ন ভাবে তাকে মিথ্যা আশা দিয়ে চলে আসি যা কি না তাকে ভুল চিন্তায় অবোধ্য করে নিবে এর থেকে চুপ থাকা ভালো।
আরও পড়ুনঃ ‘শত্রু’ ভেবে নিজেদের ৫ সেনাকে মারল ইসরাইল
আমাদের অনেকের মাঝে কিছু বাজে স্বভাব রয়েছে তার মধ্য একটি হচ্ছে পাশে বাড়ির কোনো বিষয়ে নাক গলানো। কাউকে সন্তান নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া মতো আপনি কেউ না। সেটা আপনার কাজ নয়। সন্তান নেওয়ার অনুভূতি কেমন এটা শেখাতে নিয়ে নিজেকে ছোট্ট করে আশা জ্ঞানী মানুষের লক্ষণ নয় । এটি মূর্খতার পরিচয় দেয়।
সমাজে আমরা কিছু মানুষ দেখতে পাই যারা কি না অন্যের মেয়ের বিয়ে দেওয়া নিয়ে খুবই চিন্তিত থাকে এবং বলে ফেলে অনেক কিছুই যেটা বলা উচিত নয় মানুষের শারীরিক সৌন্দর্য কে দোষা দিয়ে কিছু বলার মতো আপনি কেউ নন। তাই চুপ থাকার চেষ্টা করুন।
কোনো খারাপ পরিস্থিতিতে মাথা গরম করে কিছু করা উচিত নয় আগে পরিস্থিতি বিবেচনা করুন এরপর প্রতিবাদ করুন নাহলে আপনাকেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। অবশ্যই মনে রাখবেন যুদ্ধ থেকে দু’পা পিছিয়ে আশা মানেই হার নয়।
ভালো কথা গুছিয়ে না বলতে পারলেও কিন্তু গলদ হয়ে যায়। ভালো কথা গুছিয়ে বলা যেমন শেখা উচিত তেমনি কখন চুপ থাকতে হবে সেটাও শেখা উচিত।
এ এ/
Discussion about this post