নানা চমক আর চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞাপনের কারণে বারবার আলোচনায় আসেন ‘সাদিক এগ্রো’ এবং এর মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন। তবে এবার গরুর দাম, আকার বা পুরস্কার নয় বরং আলোচনায় এসছে তার গরু চোরাকারবার। ‘সাদিক এগ্রো’র আড়ালে বিশাল এক গরু চোরাচালান সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন ইমরান হোসাইন।
ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাইপথে গরু আনেন মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন। শুধু তাই নয়, দেশি গরু-ছাগল বিদেশি বলে বিক্রি করারও প্রমাণ পাওয়া গেছে সাদিক এগ্রোর বিরুদ্ধে।
একটি জাতীয় পত্রিকার অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালানের রুট নিয়ন্ত্রণ করেন মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন। থাইল্যান্ড থেকে উন্নত জাতের গরু মিয়ানমার হয়ে উখিয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর নেপথ্যে ভূমিকা রাখেন ইমরান।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, থাইল্যান্ড থেকে আসা গরু উখিয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এরপর সেগুলো দীর্ঘদিন রাখা হয় উখিয়ার গহিন জঙ্গলে তৈরি করা গোপন ডেরায়। এরপর উখিয়া থেকে সুযোগ মতো গরু এনে রাখা হয় নরসিংদীর শেখ ক্যাটল ফার্মে।
২০২১ সালে অবৈধভাবে নিয়ে ১৮টি ব্রাহমা জাতের গরু ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়ে। ওই ঘটনায় সাদেক এগ্রো দায়ী থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে গরুগুলো বাজেয়াপ্ত করে সরকার। সেগুলো রাখা হয় সাভারের সরকারি ডেইরি ফার্মে।
জানা গেছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে কমদামে মাংস বিক্রির জন্য প্রতি বছর সাভারের ফার্ম থেকে কিছু গরু সরবরাহ করা হয়। সুচতুর ইমরান প্রভাব খাটিয়ে ব্রাহমা জাতের গরুগুলো সেই তালিকাভুক্ত করান। এর পর নিজের ফার্মের দেশীয় জাতের গরুর সঙ্গে বদল করে ১৭টি ব্রাহমা নিয়ে আসেন।
ইমরান হোসাইনের প্রতারণার বিষয়ে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ হাবিব মোল্লা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ইমরান একজন মাফিয়া। তিনি কারও কথা শোনেন না। তিনি ডেইরি ফারমার না, ব্রোকার। গরু বেচাকেনা করেন। ঈদের আগে গরু কিনে বিক্রি করেন। তিনি খামারিদের ক্ষতি করছেন।’
এন এন/
Discussion about this post