তুহিন ভূইয়া, স্টাফ রিপোর্টার: জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। যার নাম মাথায় আসলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সাদা সাদা দাঁড়ির ও সফেদ পাঞ্জাবীর বয়োজ্যেষ্ঠ এক তরুণের নূরানী চেহারা, কারণ বয়সের ফ্রেমে কি তারুণ্যকে বাঁধা যায়! তাইতো ৬৬ বছর বয়সেও তরুণদের মতো প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশে জামায়েত ইসলামের আমীরের দায়িত্ব পালন করছেন। যা দেশের সবচেয়ে বড় ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি।
মিষ্টভাষী তিনি। অমায়িক তাঁর ব্যবহার, অসাধারণ তার শব্দ শৈলী, বাকপটু হিসেবে বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে তাঁর। তাঁর স্পষ্টভাষী স্বভাব, নেতৃত্বের দক্ষতা, সামাজিক ও কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ দেশের সব শ্রেণী পেশার মানুষ। বরাবরই প্রচারের আলোর বিপক্ষে তিনি। তবে গত ৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন শফিকুর রহমান, এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে সব খানে চর্চিত হচ্ছেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে নাম উচ্চারণের করেন জামায়াতের আমীরের। এরপর থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন থেকে শুরু করে সংখ্যালঘুদের মন্দির ও ঘরবাড়ি পাহারার দায়িত্বে সামনের সারিতে দেখা যায় জামায়াতকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলনকালীন শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অর্থ সহযোগিতা এবং সবশেষ বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ভিডিও ভাইরাল হয়। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকেই শেয়ার করতে দেখা যায় সেই ভিডিও ক্লিপ।
ভিডিওতে দেখা যায়, বন্যার্তদের জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকায় পৌছেছেন ডা. শফিকুর রহমান। এসময় তিনি গণমাধ্যমকে কেউ উপহার সামগ্রী দেওয়ার ছবি তুলতে নিষেধ করেন। এসময় দুর্গতদের ভাই বলে সম্বোধন করেন তিনি।।
রহস্যজনক হলেও সত্যি, ডাঃ শফিকুর রহমান জাসদ ছাত্রলীগের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭৩ সালে জাসদ ছাত্রলীগে যোগদান করলেও তার সক্রিয়তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরপর ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরে যোগদান করেন। পরবর্তীতে একে একে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সিলেট মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি এবং সিলেট শহর শাখার সভাপতির দয়িত্ব পালন করেন। কর্মজীবনে দায়িত্বের সাথে আপোষ না করায় এবং তাঁর একাগ্রতার জন্য পরবর্তীতে দলের সর্বোচ্চ আমীরে জামায়েত নির্বাচিত হন তিনি।
টিবি
Discussion about this post