নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে আন্তঃনগর এগারসিন্দুর প্রভাতী ট্রেনে কাটা পড়ে মনসুর মিয়া নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। চোখের সামনে বাবার মৃত্যু দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ছেলে আব্দুল হাকিম। রোববার সকালে ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেল স্টেশনের সামনের পুরাতন রেল সেতুতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মনসুর মিয়া নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার মৃত মিয়া শাহের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে একদল রেল শ্রমিক ঘোড়াশাল এলাকার রেললাইন মেরামত ও রঙের কাজ করে আসছিলেন। রোববারও সকাল থেকে মনসুর ও তার ছেলে হাকিমসহ তিন শ্রমিক ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলস্টেশনের সামনের পুরাতন সেতুর মাঝখানে রেললাইনে রঙের কাজ করছিলেন। এ সময় ঢাকামুখী এগারসিন্দুর প্রভাতী ট্রেনটি সেতুর দিকে আসতে দেখে তিনজনই দৌড়াতে থাকেন। একপর্যায়ে একটু সামনে এসে সেতুর রেললাইনের পাশে থাকা নিরাপদ চৌকিতে দুজন পৌঁছে যান। কিন্তু মনসুর পারেননি। ছেলের চোখের সামনে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই খণ্ড হয়ে সেতুর নিচে পড়ে যান তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনা দেখে ছেলে আব্দুল হাকিম নিরাপত্তা চৌকিতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে অন্য শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে রেল স্টেশনে নিয়ে যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলস্টেশনের দায়িত্বে থাকা স্টেশন মাস্টার শহিদুল ইসলাম বাবু।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহীদুল্লাহ্ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত মনসুর মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
Discussion about this post