সাধারণ ট্যাপের পানিকে মক্কার পবিত্র জমজম কূপের পানি বলে বিক্রি করতেন তিনি। এই কাজ করে গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন দীর্ঘ দিন ধরে।
তবে বাইরে থেকে দেখলে তা বোঝার উপায় ছিল না। কারণ যেসব জারে এসব পানি সংরক্ষণ করা হয়েছিল, সেগুলো সব সৌদি আরবে তৈরি এবং জারগুলোতে সৌদি সরকারের লেবেল ছিল।
অবশেষে রোববার (১২ জানুয়ারি) তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ টন (১৫ হাজার লিটার) ট্যাপের পানিও উদ্ধার করা হয়েছে। এই পানি তিনি ‘জমজমের পানি’ হিসেবে বিক্রির জন্য মজুত করেছিলেন।
গত ৫ মাস ধরে তিনি এই প্রতারণা করে আসছিলেন। পাঁচ মাসের প্রতিদিন তিনি ২০ টন করে ‘জমজমের পানি’ বিক্রি করতেন এবং দৈনিক তার আয় হতো ২২ হাজার ডলার বা ৬০ হাজার লিরা। এ পর্যন্ত অন্তত ২৫ লাখ ডলার বা ৯ কোটি লিরা (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০ কোটি টাকা) অবৈধ মুনাফা করেছেন তিনি।
এই ঘটনা ঘটেছে তুরস্কে। এতে জড়িত বিলাল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, ইস্তাম্বুলসহ তুরস্কে বিক্রি হওয়া জমজমের পানির বেশিরভাগই সাপ্লাই হতো তার প্রতিষ্ঠান থেকে।
জারগুলোর ওপর লাগানো সৌদি সরকারের লেবেলগুলো যে ভুয়া, তা বিলাল স্বীকার করেছেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, সৌদি আরব থেকে আসা যানবাহন থেকে কেনা আসল জমজমের পানি তার নিজের সংগ্রহশালার কলের পানিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন অভিযানের আগে তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে জমজমের পানি অতি পবিত্র। তুরস্কে এ পানির চাহিদা অনেক বেশি। যে কোনো ধর্মীয় উপলক্ষে তুরস্কের জনগণ জমজমের পানি পান করতে চান। পবিত্র রমজান মাসে তুরস্কের বিভিন্ন দোকানে বোতল ও ক্যানজাত অবস্থাতেও বিক্রি হয় জমজমের পানি।
সূত্র: গালফ নিউজ
এম এইচ/
Discussion about this post