বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও দুর্দান্ত ঢাকা। প্রতিযোগিতায় নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রথমে বোলিং নিয়ে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৩৬ রানেই আউট থামিয়েছে চট্টগ্রাম।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আল আমিনের পেস তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান করে ঢাকা। ১৫ রানের খরচায় ২টি উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামের আল-আমিন। এ ছাড়াও বিলালও নেন দুটি উইকেট।
কাগজে কলমে আসরের ফেভারিট না হলেও শুরুটা দারুণ হয়েছে দুদলেরই। ঢাকা নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারিয়েছে শক্তিশালী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। আর চট্টগ্রামের জয়টা গত আসরের ফাইনালিস্ট সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে। তবে পরের দিনই অবশ্য খুলনার কাছে পরাজয় মানতে হয়েছে চট্টগ্রামের। সোমবার দুদলই মাঠে নেমেছে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের লক্ষ্যে।
তবে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকার। শুরু থেকেই চট্টগ্রামের বোলারদের তোপে উইকেট হারাতে থাকে তারা। দলের খাতায় ১ রান যোগ হতেই আল আমিনের বলে আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হন লঙ্কান ব্যাটার দানুশকা গুনাথিলাকা। এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি সাইফ হাসান। আল আমিনের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন তিনি।
পরের ওভারেই ০ রানে সাজঘরে ফেরেন ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এরপর অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার অ্যালেক্স রসকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মোহাম্মদ নাঈম। ১১ বলে ৮ রান করে দলীয় ৩১ রানে তিনি শিকার হন নিহাদুজ্জামানের। সে চাপ সামলে না উঠতেই দুই বল পর রান আউটের শিকার হন রস।
এরপর অবশ্য গুনাথিলাকার কনকাশন সাব হয়ে নামা লাসিথ ক্রুসপুলে পথ দেখান ঢাকাকে। ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে দলকে শতরানের মাইলফলক পার করান। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ বলে ৪৬ রান করে ইনিংসের ১৬তম ওভারে আউট হন ক্রুসপুলে। পরের ওভারে বিলাল খানের বলে বোল্ড হন শুক্কুর। ২৬ বলে ২ চারের মারে ২৭ রান করেন তিনি।
দুজনের বিদায়ে মন্থর হয়ে আসে ঢাকার রানের গতি। শেষদিকে ৯ বলে ১৫ রান করে দলের সংগ্রহটা ১৩০ পার করে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। চট্টগ্রামের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন আল আমিন। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ২ উইকেট তুলে নেন মাত্র ১৫ রান খরচায়। ২৮ রান খরচায় ২ উইকেট নেন বিলাল। এ ছাড়া ১টি করে উইকেট নেন শুভাগত হোম, নিহাদুজ্জামান ও কার্টিস ক্যাম্ফার।
এ এস/
Discussion about this post