রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কি-নোট স্পিকার হিসেবে ড. ইউনূস তার বক্তৃতা দেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সব অংশীজনদের নিয়ে দ্রুততম সময়ে কনফারেন্স আয়োজন করতে পারেন। এই কনফারেন্স সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সৃজনশীল এবং অগ্রবর্তী পন্থা নির্ধারণ করবে।
দ্বিতীয়ত, জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশের মধ্যেকার ‘জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান’ আরো বেগবান করতে হবে এবং সবশেষে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া গণহত্যার মতো অপরাধের বিচার ও জবাবদিহিতাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন করতে হবে।
জাতিসংঘের সদর দপ্তরে হওয়া এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত জুলি বিশপ, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বৈঠকের শুরুতে ড. ইউনূস বলেন, জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের ‘জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান’কে আরও বেগবান করতে হবে এবং রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে গণহত্যার মতো অপরাধের বিচার ও জবাবদিহিতায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চাইতে হবে।
বিশ্ব নেতাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে এবং প্রতিবছর ৩২ হাজার নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে। সম্প্রতি আরও ২০ হাজার নতুন শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত চাপ তৈরি করছে, যা নিরাপত্তা ঝুঁকিরও জন্ম দিচ্ছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন মহল মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু সংকটের মূল সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ করেন।
এ ইউ/
Discussion about this post