গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলা বন্ধে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছে জাতিসংঘ। সেই ধারাবাহিকতায় সবশেষ শুক্রবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। জাতিসংঘ মহাসচিবের উত্থাপিত এ প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেয় বাংলাদেশ। এছাড়াও যুদ্ধবিরতির পক্ষে প্রায় ১০০ দেশ তাদের সমর্থন জানায়।
স্থানীয় সময় শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করে তারপর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোরিও গুতেরেস সংস্থাটির ধারা-৯৯ এর ক্ষমতাবলে নিরাপত্তা পরিষদে এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে ১৫ সদস্যের মধ্যে একমাত্র ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র এবং ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে যুক্তরাজ্য। আর বাকি সদস্যরা তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির পক্ষে অবস্থান নেয়।
জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিষেদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের কোনো এক সদস্য উত্থাপিত কোনো প্রস্তাবের সঙ্গে একমত না হলে তা বাতিল হয়ে যায়। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রয়োগের ফলে গাজায় সকলের সম্মতি সত্ত্বেও গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিমিষেই শেষ হয়ে যায়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের স্থায়ী উপ-পর্যবেক্ষক ও দূত মাজেদ বামইয়া এক টুইটে জানান, জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বানের সঙ্গে মিল রেখে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃক উত্থাপিত খসড়া প্রস্তাবে প্রায় ১০০টি দেশ ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে সমর্থন জানিয়েছে। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ায় কড়া নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ এক সদস্য বলেন, ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ ‘অনৈতিক ও অমানবিক’।
যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত গিলাদ এরদান স্বস্তিপ্রকাশ করেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সব জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা এবং হামাসের ধ্বংসের মাধ্যমেই যুদ্ধবিরতি সম্ভব হবে। প্রস্তাব ভেস্তে দেওয়ার পর মার্কিন দূত বলছেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের খসড়া তৈরির পাশাপাশি এ নিয়ে ভোটাভুটির পদক্ষেপ খুব দ্রুত নেওয়া হয়েছে। এতে উপযুক্ত পরামর্শেরও অভাব দেখা গেছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের আকস্মিক হামলার কথাই খসড়ায় আনা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
Discussion about this post