বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের মূল সহযাত্রী হিসেবে কাজ করেছে ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টি। এমনটি দাবি করে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণকারী সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের জোট জুলাই ঐক্যের নেতারা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান জুলাই ঐক্যের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ঐক্য প্ল্যাটফর্মের অন্যতম সংগঠক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রকাশ এবং নির্বাচন কমিশন থেকে দলটির নিবন্ধন স্থগিত করার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা এটিকে স্বাগত জানাই।
আওয়ামী লীগের স্থগিতাদেশে ছাত্র-জনতার দাবির পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি দাবি করে মুসাদ্দিক বলেন, স্পষ্ট করে বলতে চাই, ছাত্র-জনতার মূল দাবি ছিল আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করা এবং তাদের নিবন্ধন সম্পূর্ণ বাতিল করা। সাময়িক স্থগিতাদেশ সেই দাবির পূর্ণ প্রতিফলন নয়।
এসময় তিনি ৩ দফা দাবি ঘোষণা করেন। দাবিগুলো হলো- দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করে আওয়ামী লীগকে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা, দলটির নিবন্ধন চিরতরে বাতিল করা (মাত্র স্থগিত রাখা যথেষ্ট নয়), আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠনকে (রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
১৪ দল এবং জাতীয় পার্টি বিগত সাড়ে ১৫ বছরের আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের মূল সহযাত্রী হিসেবে কাজ করেছে দাবি করে মুসাদ্দিক বলেন, এই রাজনৈতিক শক্তিগুলোও দায়মুক্তি পেতে পারে না। আমরা এসব দলের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধকরণ এবং বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাই।
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়ে মুসাদ্দিক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দেওয়া ওয়াদার ভিত্তিতে আমরা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র অবিলম্বে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রকাশের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায়, ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে সব দাবি আদায়ে এগিয়ে যাবে জুলাই ঐক্য।
এস এইচ/
Discussion about this post