দেশ এবং পরিবার-পরিজন ছেড়ে জীবনকে কিছুটা উন্নত করার লক্ষ্যে বিদেশে পাড়ি জমায় অনেকে। প্রবাসী এই মানুষগুলো শুধু তাদের পরিবারের উন্নতিতেই অবদান রাখে না, দেশে জন্যও তারা জনশক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখে। এই প্রবাসী ব্যক্তিদের আত্মত্যাগ ও ভূমিকা অনুধাবন করেই একটি বিশেষ দিন তাদের জন্য উৎসর্গ করা হয়।
আজ ৩০ ডিসেম্বর (সোমবার) ২য় জাতীয় প্রবাসী দিবস। প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে গতবছর (২০২৩) থেকে এই দিবসটি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন। কেউ জন্মগ্রহণ করার আগে বা পরে অর্থাৎ ছোটবেলা থেকে বাইরের দেশেই বড় হন। আবার অনেকে পড়াশোনা কিংবা চাকরিসূত্রে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বসবাস করে, তাদের সংখ্যা প্রায় ১.২ মিলিয়ন। এছাড়াও আরব বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশে প্রচুর প্রবাসী বাংলাদেশির বসবাস। কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, বাহারাইন সহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা বিদেশি কর্মী হিসেবে কাজ করছেন।
চলতি বছর দেশের পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রবাসী নাগরিকরা। অর্থনৈতিক খাতে তারা ব্যাপক প্রভাব ফেলে। প্রবাসীদের রেমিটেন্সে সংকটময় পরিস্থিতেও দেশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকার জন্য তাদের ‘রেমিটেন্স যোদ্ধা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের সফলতার পেছনে প্রবাসীরা বড় ভূমিকা পালন করেছে। সশরীরে না হলেও, সমভাবে তারা এ আন্দোলনে যুক্ত ছিল। আন্দোলনের এক পর্যায়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে রেমিট্যান্স শাটডাউনের মাধ্যমে তারা এ বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করেছে।
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস করার প্রস্তাব অনুমোদন করে তৎকালীন মন্ত্রিসভা। পরে প্রাক্তন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দিবসটিকে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করে পরিপত্র জারি করেছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতবছর (২০২৩ সালে) প্রথমবারের মতো দেশে জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপিত হয়েছিল। এবছর হবে জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপনের ২য় বছর।
এ ইউ/
Discussion about this post