দীর্ঘ দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ জন অ্যাটর্নি জেনারেলের তদন্তের অংশ হিসেবে বেশ কিছু নথি প্রকাশ করেছে টিকটক। সেসব নথিতে দেখা গেছে, টিকটক অ্যাপ কিশোর-কিশোরীদের জন্য যে বিপদ ডেকে আনে, সে সম্পর্কে জানেন টিকটকের কর্মকর্তারা। অর্থাৎ কিশোর-কিশোরীদের আসক্তি জন্মাতে ইচ্ছাকৃতভাবে টিকটক অ্যাপের নকশা করা হয়েছে। এর ফলে অ্যাপের অ্যালগরিদম ব্যবহারকারীদের আসক্তি তৈরির জন্য ধারাবাহিকভাবে ভিডিও দেখাতে থাকে।
ছোট আকারের ভিডিও দেখার সুযোগ থাকায় নিয়মিত দীর্ঘ সময় একটানা টিকটক অ্যাপ ব্যবহার করেন অনেকে। শুধু তা–ই নয়, কেউ আবার নিয়মিত ভিডিও দেখার কারণে রীতিমতো টিকটক অ্যাপের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন, যা তাঁদের মস্তিষ্কের বিকাশ ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে থাকে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে টিকটক ব্যবহারকারীদের সতর্কও করেছেন গবেষকেরা। এবার টিকটকের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন গবেষণা ও নথিতে টিকটক অ্যাপে আসক্তির রহস্য তুলে ধরা হয়েছে। টিকটকের তথ্যমতে, ৩৫ মিনিটের মধ্যে ২৬০টি ভিডিও দেখলেই ব্যবহারকারীদের মধ্যে টিকটকের প্রতি আসক্তি তৈরি হতে পারে।
টিকটকে শিশু-কিশোরদের নিরাপদ রাখতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সুবিধা ব্যবহারের পাশাপাশি ভিডিও দেখার সময়ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যদিও নিরাপত্তাব্যবস্থাগুলো প্রকৃতপক্ষে অ্যাপের সময় সীমিত করার উদ্দেশ্যে নয়; বরং টিকটকের ভাবমূর্তি উন্নত করতে চালু করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে এক নথিতে টিকটকের এক কর্মকর্তা বলেন, এসব সিদ্ধান্তের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল প্রতিদিনের সক্রিয় ব্যবহারকারী বৃদ্ধি করা। প্রকৃতপক্ষে অ্যাপের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য কাজ করছে টিকটক।
সূত্রঃ প্রথম আলো
এ ইউ/
Discussion about this post