জাপানে ভয়াবহ ভুমিকম্পনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৮ জনে। দেশটির ইশিকাওয়া অঞ্চলের কর্মকর্তারা বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিবিসি এক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। বিবিসি অনুসারে, ইশিকাওয়া অঞ্চলটি ছিল ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল, যার ফলে সমুদ্রে বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় এবং বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পটি হোনশু দ্বীপের নোটো প্রদেশে আঘাত করলে সেখানকার কর্মকর্তারা উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে উঁচু জায়গায় সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ভূমিকম্পে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো অজানা। তবে বেশ কয়েকটি শহরে কয়েক ডজন ভবন ধসে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে বেশ কিছু মানুষ আটকা পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা এখন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারে―এমন লোকদের সন্ধান করছেন। কিন্তু অবরুদ্ধ রাস্তা, ভাঙা গাড়ি ও বিধ্বস্ত বাড়িঘর উদ্ধারকাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এই অনুসন্ধানকে ‘সময়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ বলে বর্ণনা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। প্রধানমন্ত্রী কিশিদা বলেছেন, ‘দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সন্ধান ও উদ্ধারের জন্য আমাদের সময়ের সঙ্গে দৌড়াতে হবে। ভূমিকম্পের পর জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জাপান সাগরে বড় সুনামির সতর্কতা জারি করলেও পরে অবশ্য তা তুলে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ সুনামির ঝুঁকি আর নেই।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেকোনো প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘জাপানি জনগণের জন্য আমরা যেকোনো প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’ জাপানের জনগণের জন্য প্রার্থনা করছেন এবং তার প্রশাসন জাপানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে জানিয়ে বাইডেন আরো বলেছেন, ‘ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান একটি গভীর বন্ধুত্বের বন্ধন ভাগ করে নেয়, যেটা আমাদের জনগণকে একত্র করে।’
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যও জাপানকে সহায়তা করতে প্রস্তুত এবং সোমবারের ভূমিকম্পের পর উদ্ধার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
Discussion about this post