রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের মামলায় জামিন পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইমরানের সঙ্গে জামিন পেয়েছেন ইমরানের দলের নেতা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিও।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ আদেশ দেন। তবে দুর্নীতির জন্য তিন বছরের কারাদণ্ড থাকায় এবং অন্যান্য অভিযোগ থাকায় তিনি কীভাবে মুক্তি পাবেন তা স্পষ্ট নয়।
ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ ইমরান ও কোরেশির জামিন মঞ্জুর করেন। আদালত এ দুই নেতার প্রত্যেকের নামে ১০ লাখ রুপি মূল্যের বন্ড জমা দিতে বলেছেন।
এ মামলায় দুজনেই গ্রেপ্তার হয়ে এখন আদিয়ালা কারাগারে বন্দী। ইমরানের বিরুদ্ধে এই মামলা ছাড়াও তোশাখানা মামলাসহ অনেকগুলো মামলা আছে।
সুপ্রিম কোর্টের জামিন আদেশের পর আদালতের বাইরে পিটিআইয়ের আইনজীবী সালমার সাফার গণমাধ্যমকে বলেন, কোরেশিকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দেওয়া উচিত। আর ইমরান খানের বিরুদ্ধে হওয়া অনেকগুলো মামলায় আগাম জামিন রয়েছে, আবার অনেকগুলো বিচারাধীন। তিনি বলেন, ‘তিনজন বিচারপতিই একমত হয়েছেন, এই নথি ফাঁসের মামলা রাজনৈতিক নিপীড়নমূলক। এভাবে আপনি সবার জন্য সমান সুযোগ আশা করতে পারেন না।’ সালমার সাফারের দাবি, নথি ফাঁসের মামলার আর কোনো আইনগত ভিত্তি থাকল না।
এদিকে পিটিআইয়ের আরেক আইনজীবী ইউসুফ চৌধুরী এএফপিকে বলেছেন, অদূর ভবিষ্যতে ইমরানের ছাড়া পাওয়ার আশা খুবই কম।
৭১ বছর বয়সী ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পর থেকে রাজনৈতিক ও আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। রাষ্ট্রীয় উপহার বেআইনিভাবে বিক্রির জন্য আগস্টে তিন বছরের জন্য তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এস আর/
Discussion about this post