সাধারণ শিক্ষার্থী ও মানুষের তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগের শাসনামলে হওয়া সব অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া হামলা ও মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হতে থাকে।
এসব মামলায় দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের আসামি করা হয়েছে। একইসঙ্গে দলটির সঙ্গে জড়িত শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের নামেও মামলা হয়। তাদেরই একজন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেতা জায়েদ খান। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে তার নামে।
জায়েদ খানের নামে মামলার ঘটনা নিয়ে ওই সময় অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। তবে এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
সম্প্রতি নিউইয়র্কভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমের ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ নাম অনুষ্ঠানে ড. আসিফ নজরুলের কাছে এক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়―আগের আমলের মতো এবারও অদ্ভুত সব গায়েবি মামলা হচ্ছে কিনা? জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টf বলেন, সবার নাম নিয়ে তো বলা সম্ভব নয়, তবে এখন দু’জনের নাম মনে আছে; সাকিব আল হাসান ও জায়েদ খান।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, এখানে একটি বিষয় বুঝতে হবে, মামলা করা সবার নাগরিক অধিকার। সবই (মামলা) কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে হয়েছে। এসব পুলিশ করলে তবে তা রাষ্ট্রীয় হতো। উনাদের ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়েছে? গ্রেপ্তার হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এফআইআর মানেই গ্রেপ্তার নয়। পুলিশ ক্রেডিবল কিছু না পেলে গ্রেপ্তার করবে না, এটা নিশ্চিত। আসলে যারা মামলা করতে আসে, এত প্রেশার থাকে, তা বলার মতো নয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন ব্যান্ড শিল্পী আসিফ ইমাম। মামলায় জায়েদ খান ছাড়াও আসামি করা হয়েছে অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়, সাজু খাদেমসহ ৫০ জনকে।
এস/এইচ
Discussion about this post