জার্মানিতে উগ্র ডানপন্থি এবং অভিবাসনবিরোধী রাজনৈতিক দল এএফডির বিরুদ্ধে সমাবেশ হয়েছে। রোববার (২১ জানুয়ারি) এতে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন।
সমাবেশ অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার্র। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এই মানুষগুলো আমাদের সকলকে সাহস জোগায়। তারা আমাদের গণতন্ত্রকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করছে। তারা আমাদের সংবিধান রক্ষা করছে। তারা মানবতাকে রক্ষা করছেন।
বার্লিন, কোলন, ড্রেসডেন, লাইপজিশ এবং বনসহ একাধিক জায়গায় সমাবেশ হয়েছে বলে জানিয়েছে ডয়চে ভেলে। তবে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি বলে শেষ পর্যন্ত সমাবেশ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রায় দুই লাখ মানুষ মিউনিখের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন, কোলনে প্রায় ১০ হাজার।
সম্প্রতি একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা থেকে জানা গেছে এএফডি সদস্যরা নভেম্বরে উগ্রডানপন্থিদের একটি সভায় যোগ দেন। পটসডামের মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারীরা আলোচনা করেছেন। আশ্রয়প্রার্থী এবং অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, এমনকি সমাজে যথেষ্ট একীভূত হননি, এমন কারো জার্মান পাসপোর্ট থাকলেও তাদের প্রত্যাবাসন করা হতে পারে বলে আলোচনায় উঠে এসেছে।
অনুসন্ধানী আউটলেট কারেকটিভের প্রতিবেদন ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। ফলে জার্মানিতে একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যেখানে মানুষ আতঙ্কিত।
সাম্প্রতিককালে পূর্ব জার্মানির তিনটি নির্বাচনে ভোটের সংখ্যা বেড়েছে এএফডির।
জার্মান রাজ্যগুলোতে চলতি বছরের শেষের দিকে আঞ্চলিক নির্বাচন হওয়ার কথা। এরই মাঝে পটসডামের বৈঠকে উগ্র ডানপন্থিরা ‘রিমাইগ্রেশন’ শব্দটি ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। এটি অভিবাসী এবং সংখ্যালঘুদের বহিষ্কার করা বোঝাতে অতিডানপন্থিরা ব্যবহার করে থাকেন।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
এফএস/
Discussion about this post