জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের জাতীয় সংসদে কেন এসেছেন—তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে জিএম কাদের বলেন, এই সংসদে ভারসাম্য রক্ষা হয়নি। জিএম কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাই যদি হয় তাহলে উনি আসলেন কেন? কথা তো যা বলার উনি একাই বললেন। গতকাল দেশের প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেননি। আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতা করেছি। স্পিকারকে ধন্যবাদ জানানোর নামে ফ্লোর নিয়ে তিনি গতকাল যেসব কথা বলেছেন তা ঠিক হয়নি। সামনে আরও সময় ছিল তখন অনেক কথাই বলতে পারতেন। তিনি শুরুটাই এমনভাবে করলেন যে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন, লম্বা একটা বক্তৃতা দিলেন। বিষয়টা হলো ধন্যবাদ জানানোর। এত লম্বা ভাষণের জন্য ওনাকে আহ্বান করা হয়নি। উনি নিয়ম লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন। ওনার কথা বলার সামনে যথেষ্ট সুযোগ আছে। স্বাধীনতার পর এদেশে একজন বিরোধীদলীয় নেতা ছিল, এখন তো তারাই ১১ জন।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ বুধবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহিলা সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়ন নেওয়ার বা চাওয়ার যে হিড়িক, সেই তুলনায় আমাদের দেওয়ার সুযোগ খুব কম। আমরা আমাদের পরীক্ষিত, ত্যাগীদের গুরুত্ব দেব। যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যারা আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মী, তাদের ব্যাপারটা আমরা অগ্রাধিকার দেব।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির কালো পতাকা মিছিলটি অবৈধ ছিল। কারণ, পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়নি।
এ সময় বিএনপির কালো পতাকা, কালো ব্যাজ এসবের প্রতি মানুষের সমর্থন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আরও বলেন, ‘অনুমতি না নিয়ে তারা রাজপথে ফ্রি স্টাইল করবে আর আমরা বসে বসে দেখব তা হবে না।’
দলের পরীক্ষিত ত্যাগীদের সংরক্ষিত আসনের জন্য মূল্যায়ন করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সংরক্ষিত ৫০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৮ ও স্বতন্ত্ররা ১০টি আসন পাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা ধরে কাজ শুরু করেছে সরকার। কাজ চলছে। রাতারাতি এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না। যারা আইনভঙ্গ করবে তারা যারাই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ জেড কে/
Discussion about this post