আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়ে গত তিন মাসে বিএনপির ১৩ জন নেতার মৃত্যু’র অভিযোগ করেছে বিএনপি। তারা (বিএনপি) বলুক, তালিকা দিক কারা কারা মারা গেছে এবং তারা কোথায় কোথায় বিএনপির কী দায়িত্বে ছিল।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কারাগারে নাকি তাদের ১৩ নেতাকর্মীকে মেরে ফেলা হয়েছে। জেলখানায় যারা বন্দি আছে তারাও মানুষ, তাদেরও মৃত্যু হতে পারে। এ রকম মৃত্যুর খবর প্রায়ই আমরা বাইরে জানি। এ সংখ্যাটা ১৪-১৫ সে রকম বেরিয়েছে। এখন জেলে যে বন্দি অবস্থায় আছে তার কি মৃত্যু হবে না? এখন জেলে যে সব লোক মারা গেছেন তারা যে বিএনপির, এটা কীভাবে দাবি করে তারা। তাহলে তারা (বিএনপি) তালিকা দিক, কারা কারা মারা গেছে এবং তারা কোথায় কোথায় বিএনপির কি দায়িত্বে ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা গুমের অনেক খবর জানি। কক্সবাজারের সালাউদ্দিন যখন ওপারে ধরা পড়ে, তখন সে ঘুরে বেড়াচ্ছিল রাস্তায়। ধরা পড়ার আগে বিএনপি অপপ্রচারই করেছিল যে সালাউদ্দিনকে গুম করা হয়েছে। তারপরে একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক ফরহাদ মজহার, তার সম্পর্কেও একই রকম অপপ্রচার করা হয়েছিল। পরে তাকে পাওয়া গেলো খুলনার মার্কেটে। অথচ আমাদের যে মাফুজ বাবুকে নিয়ে (নগর ছাত্রলীগের নেতা) তারা (বিএনপি) গুম করল সে বিষয়ে কোনো কথা বলে না। চট্টগ্রামে জামালউদ্দিন তাদের (বিএনপির) পার্টির নেতা। জামালউদ্দিন হঠাৎ অপহরণ, গুম হয়। তারপর এক সময় তারা দোষ চাপাল যে আওয়ামী লীগ তাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে। কিন্তু পরে দেখা গেলো যে জামালউদ্দিনকে তারাই (বিএনপি) অপহরণ করে খুন করেছে।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, কাজেই আমরা এখনো বলতে চাই, গুম খুন এসব মিথ্যে তথ্য উপাত্ত ছাড়া, মিথ্যাচার যে তারা করছে সত্যটা কী? কারা গুম হয়েছে তাদের তালিকা দেখতে চাই। তারা অন্ধকারে বারবার ঢিল ছুড়বে সেটা হয় না। এটা রাজনীতি নয়। তাদের রাজনীতি এখন লিফলেট বিতরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু লিফলেট বিতরণ করে ব্যর্থতা আড়াল করা যাবে না। লিফলেটের ভাষা দিয়ে তাদের ব্যর্থতা আড়াল করার কোনো স্পেস নেই।
এ এস/
Discussion about this post