ভারী বৃষ্টি ও প্রবল ধুলি ঝড়ের কবলে পড়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। পুরো শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে এতে। ব্যাপক জলাবদ্ধতা এবং যানজটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। শতাধিক ফ্লাইট বিলম্বের ঘটনা ঘটেছে ঝড়বৃষ্টির কারণে। শিডিউল বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দিল্লির রেলওয়েও। শুধু তাই নয়, প্রাকৃতিক এ দুর্যোগের কবলে পড়ে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত থেকে শুরু তীব্র ঝড় ও ভারী বৃষ্টিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পুরো রাজধানী। বৃষ্টি ও ধুলি ঝড়ের কারণে প্রায় ১২০টি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। এছাড়া প্রবল বাতাসের কারণে একটি গাছ ঘরের উপর পড়ে এক নারী ও তার তিন সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ের কারণে অনেক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। দিল্লির দ্বারকা এলাকায় একটি বাড়ির উপর গাছ ভেঙে পড়ে। বাড়ির একাংশ ভেঙে এক নারী ও তার তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে লাজপত নগর, আর কে পুরম এবং দ্বারকার মতো এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সকাল থেকেই ওই এলাকাগুলোতে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আগে তিনটি ফ্লাইট আহমেদাবাদ এবং জয়পুরে ডাইভার্ট করা হয়েছিল। জয়পুরে ডাইভার্ট করা বিমানগুলোর মধ্যে একটি ব্যাঙ্গালোর-দিল্লি এবং আরেকটি পুনে-দিল্লি ফ্লাইট ছিল। ফ্লাইটরাডার অনুসারে, দিল্লি বিমানবন্দরে আসার জন্য গড়ে ২১ মিনিট এবং প্রস্থানের জন্য ৬১ মিনিট বিলম্ব হয়েছে। দিল্লি থেকে ছেড়ে যাওয়া ২০টিরও বেশি ফ্লাইট এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে।
এ অবস্থায় ভারতের একাধিক বিমান সংস্থা যাত্রীদের বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে তাদের ফ্লাইটের সর্বশেষ আপডেট যাচাই করার জন্য অনুরোধ করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া বলেছে, দিল্লিতে চলাচল করা কিছু ফ্লাইট ডাইভার্ট করা হয়েছে এবং বিলম্বে চলছে। এ বিপর্যয় সামলানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
এছাড়া তীব্র বাতাসের কারণে গাছ তারের উপর পড়ে যাওয়ার কারণে শিডিউল বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ১৫ থেকে ২০টি ট্রেন।
এস এইচ/
Discussion about this post