গাজীপুরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার পর ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সরকার।
সরেজমিনে দেখা যায়, ময়দান ও আশপাশের এলাকায় পাহারায় রয়েছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ও নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছেন তারা।
দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের মাঠ ছেড়ে দেওয়ার আদেশ দেওয়ার পর গতকালই (১৮ ডিসেম্বর) মাঠ খালি করে দেন মুসল্লিরা। যারা গতকাল মাঠ ছেড়ে যেতে পারেননি তাদের অনেকেই আজ (১৯ ডিসেম্বর) মাঠ ছেড়ে যাচ্ছেন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে জোড় ইজতেমা করতে চেয়েছিলেন সাদপন্থি মুসল্লিরা। জোবায়েরপন্থিরা বাধা দিলে ১৮ ডিসেম্বর ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে চার মুসল্লি নিহত হন এবং আহত হন শতাধিক। এ ঘটনায় হতাহতের দায় একে অপরের ওপর চাপাচ্ছে দুই গ্রুপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাঠের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
আগামী জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে টঙ্গীর ময়দানে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের কথা রয়েছে। পরপর দুই সপ্তাহে দুই গ্রুপের অনুসারীদের ইজতেমা করার কথা থাকলেও, গতকালের উদ্ভূত পরিস্থিতির পর মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের কোনোভাবেই ইজতেমা করতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা।
২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। এরপর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই ভাগ হয়ে পড়ে তাবলিগ জামাত।
২০১৯ সাল থেকে আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগের কার্যক্রম পরিচালনা করেন তারা। প্রথম পর্বে জোবায়েরপন্থি ও দ্বিতীয় পর্বে সাদপন্থিরা আয়োজক হিসেবে ভূমিকা রাখেন।
তবে, ২০২৫ সালের ইজতেমায় কারা আগে করবে আর কে পরে করবে এবং দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভির ময়দানে আসতে দেওয়া না দেওয়া নিয়ে দুই গ্রুপে বিরোধ তৈরি হয়েছে।
এম এইচ/
Discussion about this post