বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই ঝুঁকছেন হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি করতে। কিন্তু যে প্রতিষ্ঠানে এই কাজ করানো হচ্ছে তা কতটা মান সম্পন্ন তার বিবেচনা করা হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে বিবেচনা করার সুযোগও থাকে না। এ ক্ষেত্রে ঘটছে দুর্ঘটনা। সার্জারির মান নিয়ে বাছবিচার না করায় মর্মান্তিক পরিণতিও লক্ষ করা যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে।
সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে এমন এক ঘটনা ঘটেছে। চুল প্রতিস্থাপনের পরপরই মৃত্যুবরণ করেছেন দুই প্রকৌশলী। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলে ওই চিকিৎসক পলাতক। অবশেষে দীর্ঘ কয়েক মাস পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা যায়, গত মার্চে এই দুজন একটি হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করান। অভিযোগ ওঠে, অস্ত্রোপচারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তারা মৃত্যুবরণ করেন। অভিযুক্ত চিকিৎসক ডেন্টিস্ট অনুস্কা তিওয়ারি নিজেই এই অপারেশন করেছিলেন। অথচ এই পদ্ধতি তার চিকিৎসা বিষয়ের নয়।
নিহত বিনীত কুমারের স্ত্রী জয়া ত্রিপাঠী জানান, ১৩ মার্চ তার স্বামীর অস্ত্রোপচার হয়। পরদিন ১৪ মার্চ জানানো হয়, তার স্বামীর মুখ ফুলে গেছে। এরপর তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া পাননি। রাত ১১টার দিকে একবার যোগাযোগ হলে চিকিৎসক স্বীকার করেন যে কোনো ধরনের মেডিকেল টেস্ট না করেই তিনি এই অস্ত্রোপচার করেছেন। ওই রাতেই স্বামীকে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, কিন্তু ১৫ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
জয়ার অভিযোগ, প্রাথমিকভাবে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। ফলে তিনি ৯ মে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ মামলা গ্রহণ করে।
সরকারি কৌঁসুলি দিলীপ সিং জানান, অনুস্কা তিওয়ারির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তিনি এমন একটি অপারেশন করেছেন, যা তার চিকিৎসা দক্ষতার আওতায় পড়ে না। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। কাকাদেব থানায় মামলা রুজু হয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে তাকে দোষী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন এবং আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এখনো প্রমাণ সংগ্রহ চলছে এবং তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। একইসঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে আরও কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা।
সূত্রঃ এনডিটিভি
এস এইচ/
Discussion about this post