নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশে অনিয়মিতভাবে অবস্থানরত কিউবাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের ঢালাওভাবে বিতাড়নের যে পরিকল্পনা নিয়েছেন সেটি বাস্তবসম্মত নয়। গত বুধবার কিউবার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছেন।
অভিবাসনবিরোধী বড় অভিযানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। রানিং মেট জেডি ভেন্সকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বছরে দশ লাখের মতো অনিয়মিত অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে চান।
কিউবার রাজধানী হাভানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে অভিবাসন বিষয়ক নিয়মিত বৈঠকের পর ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন কার্লোস ফার্নান্দেজ দ্যে কসিও।
তিনি বলেন, এ ধরনের বিতাড়ন প্রক্রিয়ার যাচাইবাছাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কিউবার মধ্যে ইতোমধ্যে কার্যকর থাকা চুক্তির মধ্যে হতে হবে।
দ্যে কসিও বলেন, ‘এই প্রেক্ষাপটে এমনটা চিন্তা করা অবাস্তব যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিউবায় গণবিতাড়ন ঘটতে পারে।
তবে এরইমধ্যে কার্যকর চুক্তির আওতায় বাইডেন প্রশাসনের আমলে অল্প সংখ্যক মানুষকে আকাশ এবং সাগর পথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত এনেছে কিউবা।
এদিকে টম হোমানকে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। অভিবাসন বিষয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই কর্মকর্তা অপরাধী এবং চূড়ান্ত বিতাড়নের নির্দেশনা পাওয়া ব্যক্তিদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠী বা জাতীয়তাকে বাদ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা তিনি জানাননি।
সূত্রঃ ডয়চে ভেল
এ ইউ/
Discussion about this post