কোনো দম্পতির বিয়ের বয়স ৬ মাস, কারও ২ বছর, আবার কারও ৫ বছরও পেরিয়েছে। অনেকের বিয়ের বয়স এক দশক পেরিয়ে হয়েছেন সন্তানের বাবা-মা। স্বামী-স্ত্রীর এমন সম্পর্ক শেষ হয়ে যাচ্ছে নিমিষেই। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে দিন দিন বেড়েই চলছে বিচ্ছেদের ঘটনা।কয়েক বছর আগে এমন ঘটনা কম শোনা গেলেও ঠাকুরগাঁওয়ে এখন তা নিত্যদিনের ঘটনা। প্রতিদিন গড়ে বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে ৪টি। যার অন্যতম প্রধান কারণ পরকীয়া। এছাড়াও সংসারে বনিবনা না হওয়া, প্রেম করে বিয়ে, যৌতুকসহ আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
জেলা রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় মোট কাজি রয়েছে ৬২ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে জেলায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে ১ হাজার ১০০টি। নারীর মাধ্যমে বিচ্ছেদ হয়েছে ৬০০টি, ছেলের মাধ্যমে বিচ্ছেদ হয়েছে ৩০০টি, আর পারিবারিকভাবে বিচ্ছেদ হয়েছে ২০০টি।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন বলেন, কোর্টে এখন যতগুলো বিচ্ছেদ আসে তার মধ্যে মেয়ের পক্ষ থেকে বেশি আসে। সংসারে স্বামী-স্ত্রী মিল না হওয়ার কারণেই তালাক হচ্ছে। তবে আমি মনে করি সংসার জীবনে সমস্যাগুলো সমাধান করে একে অপরের ভুলত্রুটি মেনে নিয়ে চলাই জীবন।
জেলা সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দিন বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক সাধারণত তিন প্রকার। ছেলের পক্ষ থেকে তালাক, মেয়ের পক্ষ থেকে তালাক, উভয় পক্ষ থেকে তালাক। এ বছরে মেয়ের পক্ষ থেকে তালাক বেশি হয়েছে। পারিবারিকভাবে তালাকের সংখ্যা খুবই কম।
এস এম/
Discussion about this post