বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদী। তবে তিনি স্পষ্ট করে জানান, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপি একমত হবে না।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এই যে ঘটনাগুলো ঘটেছে এর দায় সরকার এড়াতে পারে না। সরকারি বিভিন্ন বাহিনীগুলোর সামনেই এই ঘটনা একটার পর একটা ঘটেছে। আমরা মনে করি এই কারণে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপন্ন হয়েছে। ফ্যাসিবাদকে সুযোগ করে দিয়েছে এসব বিষয়ে কথা বলার।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা বারবার বলে আসছি এটা অন্তর্বর্তী সরকার। দ্রুত নির্বাচনের জন্য আমরা আবারও তাদের তাগাদা দিয়েছি। ন্যূনতম যেসব সংস্কার করা দরকার সেটুকু করে আমরা নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছি।
তিনি বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি এখনো প্রশাসনে যেসব ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়েছে, যারা লুটপাটে সহযোগিতা করেছে, যারা হত্যায় সহযোগিতা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি।
ফখরুল বলেন, গত ১৫ থেকে ১৬ বছরে যেসব মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে সেসব মামলা প্রত্যাহারের কথা আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি। এ বিষয়ে তারা নীতিগত সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারকে অত্যন্ত জোরালোভাবে বলেছি তারা দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। তারা এ বিষয়ে বলেছেন, দ্রব্যমূল্য কমাতে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এর আগে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। মহাসচিব ছাড়াও দলটিতে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এ ইউ/
Discussion about this post