ডিসেম্বরেও খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থাৎ অব্যাহত রয়েছে জীবনযাত্রার চাপ। অবশ্য এই সময়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ শতাংশের নিচে। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু সুদহার কমানো কিংবা শুল্কছাড় নয়, স্বাভাবিক রাখতে হবে পণ্যের আমদানি ও যোগান।
এখন বাজারে কিছুটা কমতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দর। তবে ভরা মৌসুমেও নাগালে নেই চালের দাম।
বিবিএসের তথ্য বলছে, মাস ব্যবধানে কিছুটা কমে ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। নভেম্বরে যা ছিল প্রায় সাড়ে এগারো । তবে নভেম্বরের তুলনায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও তা ১৩ শতাংশ ছুঁই ছুঁই। গেল বছরের নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির পারদ পেরিয়েছিল ১৪ শতাংশের ঘর। যাতে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষকে।
তথ্যে আরও দেখা যায়, গেল বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তার আগের বছরে যা ছিল সাড়ে নয়। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে আমদানিতে শুল্ক ছাড় ও নীতি সুদহার বাড়িয়েও সুফল মেলেনি।
বিশ্লেষকরা বলেন, এখনও খাদ্য মুল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের উপরে। এটি যদি সিঙ্গেল ডিজিটে আনা যায়, তখনই মনে হবে যে আমাদের মনিটরিং পলিসি, ফিসক্যাল পলিসি এবং বাজার তদারকি এই তিনটির সম্মিলিত উদ্যোগ কাজে লেগেছে।
বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরেও শহরের চেয়ে মূল্যস্ফীতি বেশি ভুগিয়েছে গ্রামীণ জনপদকে।
এ ইউ/
Discussion about this post